পেকুয়ায় সৌদি প্রবাসি আলমগীরকে মামলায় ফাঁসালেন রাজাখালী ইউপির সেই চেয়ারম্যান ছৈয়দনুর। জায়গার বিরোধ চলছিল দু’পক্ষের মধ্যে। কিন্তু প্রবাসি ঘটনায় কোন পক্ষের সাথে জড়িত নেই। প্রতিবেশিদের একটি বিরোধকে কেন্দ্র করে পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছৈয়দনুর তাকে ঘায়েল করতে সচেষ্ট হন। এর সুত্র ধরে ওই চেয়ারম্যান গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রবাসিকে দু’দফা পরিষদে আটকিয়ে পৃথক দু’অংকে এক লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা আদায় করে। প্রবাসির কাছ থেকে টাকা বের করতে ওই চেয়ারম্যান পরিষদের কক্ষে আটকিয়ে রেখে অমানুষিক নির্যাতন চালায়। জানা গেছে গত দেড় মাস আগে প্রবাসি আলমগীর দেশে আসেন। জানা গেছে রাজাখালী ইউনিয়নের লালজানপাড়া এলাকার মৃত.রশিদ আহমদের ছেলে আব্দুল করিম ও তার ভাতিজা মৃত.শামসুল আলমের ছেলে নাছির উদ্দিনের মধ্যে বসতভিটার জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এনিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। ওই ঘটনায় আরমান নামে এক ব্যক্তি আহত হন। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসিত হয়। পরে আলমগীর দেশে ফিরলে আব্দুল করিম বিষয়টি নিয়ে পরিষদে ফের বিচার দেন। এর আগে আলমগীর সাথে আব্দুল করিমের মধ্যেও জায়গা নিয়ে বিরোধ ছিল। আব্দুল করিম চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুরের অনুগত লোক। জানা গেছে দেশে ফেরার পর প্রবাসির কাছ থেকে চেয়ারম্যান ছৈয়দনুর এক লাখ টাকা দাবি করে। কিন্তু প্রবাসি টাকা দেয়নি চেয়ারম্যানকে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে চেয়ারম্যান প্রবাসি আলমগীরকে দু’দফা তুলে নেয়। ১ম দফায় ৪০হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেন। গত ১৭অক্টোবর সন্ধ্যায় লালজানপাড়া ব্রীজ সংলগ্ন ষ্টেশন থেকে চেয়ারম্যান ছৈয়দনুর লোকজন নিয়ে তাকে ধরে নিয়ে যায়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে এক লাখ টাকা নিয়ে ওই প্রবাসিকে ছেড়ে দেয়। ওই ঘটনা এলাকায় জানা জানি হলে তোপের মুখে পড়ে চেয়ারম্যান। এতে অধিক ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান ছৈয়দনুর কৌশলে গত ১৯অক্টোবর তার অনুগত আব্দুল করিমকে বাদি করে চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় প্রবাসি আলমগীরকে আসামি করে। প্রবাসি আলমগীর জানায় অহেতুক হয়রানি করতে চেয়ারম্যানের ইন্ধনে বাদি আমাকে মামলায় জড়ায়। এটি চক্রান্তের ফাঁদ। সম্পুর্ন ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে চেয়ারম্যান নিজেই এ মামলাটি বাদিকে দিয়ে করিয়েছে। অথচ কৌশলে মামলার তদন্তভার নিজে নিয়ে নেয় চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর। তার কাছে তদন্ত হলে প্রতিবেদন নিশ্চিত নিরহ লোকজনের বিরুদ্ধে যাবে। ঘটনার সময় আমি ছিলাম না। চিকিৎসা সনদে সামান্য আঘাতে কথা উল্লেখ আছে। মামলায় দেখানো হয়েছে তার অঙ্গহানির কথা। যা মামলা ও চিকিৎসা সনদের মধ্যে ব্যাপক গরমিল।
প্রকাশ:
২০১৬-১০-২০ ১৪:৪৭:০২
আপডেট:২০১৬-১০-২০ ১৪:৪৭:০২
- চকরিয়ায় প্যারাবন নিধনের মামলায় আসামি নিরীহ মানুষ
- পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট, চিকিৎসা সেবা ব্যাহত
- চকরিয়ায় সেনাবাহিনীর হাতে নারীসহ তিনজন গ্রেফতার
- মেরিন ড্রাইভ সড়কে অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক নিহত
- চকরিয়ায় সাবেক এমপি জাফর সাঈদি সহ আওয়ামী লীগের ২৮৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় নতুন মামলা
- চকরিয়ায় যাত্রীবাহী বাস থেকে ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার, বিক্রেতা গ্রেফতার
- দুর্নীতির আখড়ায় কক্সবাজার সিটি কলেজ
- চকরিয়ায় ব্যবসায়ীকে ডেকে নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে দুই লাখ টাকা ছিনতাই
- বদরখালী সমিতির ১১টি মৎস্য প্রকল্পের নিলাম নিয়ে বিরোধ
- রামুতে আপন ভাতিজিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি
- রামুতে ল্যাপটপ পেলেন ৮০ নারী ফ্রিল্যান্সার
- চকরিয়া সদরের বক্স রোড সম্প্রসারণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ
- বহিরাগতদের নিয়ে কলেজে গেলেন পদত্যাগ করা বিতর্কিত অধ্যক্ষ মুজিবুল আলম
- চকরয়ার ঠিকাদার মিজান গ্রেফতার, কোটি টাকার ঋণের জেল-জরিমানার দায়ে
- কক্সবাজার আবাসিক হোটেলে ৭০ ইউপি সদস্যের ‘গোপন বৈঠক’, আটক ১৯
- চকরিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, ২টি ডাম্পার ও স্কেভেটর জব্দ
- চকরিয়ার রশিদ আহমদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় : কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে
- কুতুবদিয়ায় গর্তে ১০ লক্ষ মণ পুরাতন লবন,লোকসানের শংকা চাষীরা
- চকরিয়ার সাবেক এমপি জাফর আলম, সালাহউদ্দিনসহ আওয়ামী লীগের ৭৩৬ জন আসামী
- চকরিয়ায় ব্যবসায়ীকে ডেকে নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে দুই লাখ টাকা ছিনতাই
- উত্তপ্ত রামু সরকারি কলেজ: অধ্যক্ষ মুজিবের অপসারনের দাবিতে কার্যালয় ও প্রশাসনিক ভবনে তালা
- পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট, চিকিৎসা সেবা ব্যাহত
পাঠকের মতামত: